ব্লগিং কী?
অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। তন্মধ্যে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হল ব্লগিং। অনেকেই শখ করে লেখালেখি করেন, অনেকেই বিভিন্ন বিষয় জানতে ও অন্যকে জানাতে ভালবাসেন। এসবের মঝে যদি কিছু রোজগারও হয় তবে খারাপ কী ! এমনকি অনেকে একে পেশা হিসেবে নিয়ে হাজার থেকে লাখ টাকাও রোজগার করছেন !
ব্লগিং কীঃ আমরা কম বেশি সবাই ব্লগ বা ওয়েব ব্লগ শব্দটির সাথে পরিচিত। ইন্টারনেট জগতে “ব্লগ” এর বয়স দশ পার হয়েছে। Blog শব্দটির আবির্ভাব Weblog থেকে। Weblog শব্দটিসর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় দশ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর। শব্দটির স্রষ্ট্রা মার্কিন নাগরিক জন বার্জার। এর ঠিক দু’বছর পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পিটার মহোলজ নামে একব্যক্তি Weblog শব্দটিকে ভেঙ্গে দুই ভাগ করেন- We Blog এর পরই সারা বিশ্বব্যাপী ব্লগ জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
এরপর থেকে ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি ব্লগিং হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করে। যেকোন বিষয় যেমন খেলাধুলা, রাজনীতি, সাহিত্য ইত্যাকার বিষয় নিয়ে ব্লগ শুরু করতে পারেন।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেনঃ ব্লগিং দুভাবে শুরু করতে পারেন।
- নিজে একটা সাইট খুলে।
- অন্যের সাইটে লেখালেখি করে।
আর বাইরের সাইটে লিখতে পারেন একাউন্ট খুলে। এক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট ব্লগ সাইটে একটি ব্লগঅ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার সময় আপনার ই মেইল আইডি প্রয়োজন হবে। একটি নির্দিষ্ট নামে (বাংলায়) আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে যেটা হবে আপনার পরিচয়। ব্লগে আপনাকে সবাই ঐ নামেই চিনবে। এই নামটি পরবর্তীতে পরিবর্তনযোগ্য নয়। এছাড়াও ব্লগ অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য প্রয়েজন হবে একটা Username এবং Password এর। এমন একটি Username হতে ববে যা ঐ ব্লগ সাইটে আর কারো দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে না। আপনার ব্লগ অ্যাকাউন্ট সফলভাবে খোলার পর আপনার দেয়া নির্দিষ্ট Username এবং Password দিয়ে লগইন করে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে হবে। লগইন করে ঢোকার পর আপনি নতুন ব্লগ বা নতুন টিউন লিখতে পারবেন এবং তা ব্লগে প্রকাশ করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয় কিভাবে হয়ঃ ব্লগিং করে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। যেমন
- আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে,
- কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করে অথবা
- কোন আউটসোর্সারকে কন্টেন্ট লিখে দিয়ে।
১.বিজ্ঞাপন প্রকাশঃ
বিজ্ঞাপন কোথায় পাবেনঃ দুটি উপায়ে বিজ্ঞাপন পেতে পারেন।
- নিজে বিভিন্ন কোম্পানিতে যোগাযোগ করে
- অনলাইন মাধ্যম থেকে
নিজে জোগাড় করতে চাইলে বিভিন্ন কোম্পানিতে যোগাযোগ করুন। আপনার সুবিধা মত তাদের সাথে চুক্তি করুন। তারপর তা আপনার সাইটে প্রকাশ করে তাদের কাছ থেকে বিল নিন।
আর অনলাইনে বিজ্ঞাপন পেতে হলে সবচে জনপ্রিয় মাধ্যম হল অ্যাডসেন্স। যা গুগল কর্তৃক পরিচালিত। গুগল বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বিজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব পায় যা আপনার সাইটে গুগল কর্তৃক প্রকাশিত হলে আপনাকে গুগল নির্দিষ্ট লভ্যাংশ দেবে। এছারাও রেভিনিউ ইট, চিতিকা, ইলিক্স ইত্যাদিও রয়েছে।
২.কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করে
নিজ পন্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। অথবা কমিশনের ভিত্তিতে অন্নের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। যাকে বলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আলাদা একটি ক্ষেত্র হলেও ব্লগিং -এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কিত। এখন প্রশ্ন, ব্লগিং এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্পর্কটা কি? ধরুন, আপনার সফটওয়্যার বিষয়ক কোন ব্লগটি আছে। সেখানে যথেষ্ট ভিজিটরসও আছে। তাহলে আপনি কোন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রিমিয়াম সফটওয়্যার কমিশনের মাধ্যমে অনলাইনে সেল করার চুক্তি করলেন।
৩.আউটসোর্সারকে কন্টেন্ট লিখে দিয়ে
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স সাইটে কনটেন্ট রাইটের হাইয়ার করা হয়। এখানেও কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে লিখে দেয়া। এটাও ব্লগিং করে আয়ের অন্যতম একটি উপায়।
ব্লগিং করতে যা যা প্রয়োজনঃ
- ১.ব্লগিং করতে আপনার অবশ্যই যা প্রয়োজন তা হল আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন।
- ২.একটা ইমেইল অ্যাকাউন্ট।
- ৩.নির্দিষ্ট ব্লগের সাইটে আপনার একটা ব্লগ অ্যাকাউন্ট।
- ৪.আপনার কম্পিউটারে অভ্র, বিজয় কিংবা যে কোন টাইপিং সফটয়্যার ইনস্টল থাকতে হবে।
- ৫.টাইপিংস্পিড মোটামুটি সন্তোষজনক হতে হবে।
- ৬.ব্লগ সাইটের কিছু শব্দের সাথে পরিচিত হতে হবে এবং ব্লগের নীতিমালা গুলো জানা থাকতে হবে।
0 comments:
Post a Comment